ইতিহাস কথা বলে। ইতিহাসের প্রতিটি অন্যায়ের ঘটনা, প্রতিশোধ নেয়। ইতিহাস চুপ করে থাকে না। প্রত্যেক ক্রিয়ার যেহেতু প্রতিক্রিয়া রয়েছে, তাই সেই প্রতিক্রিয়া টুকু আপাতত ভোগ করছে এ রাজ্যের মার্কসবাদীরা।
এ রাজ্যের রাজনৈতিক বিশ্লেষক মহলের এমনটাই অভিমত। মহলের মতে,রাজ্যে জোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর এই দল আরও জনবর্জিত হয়েছে। ২৫ বছর যে দল ত্রিপুরাতে রাজত্ব করত এদের এক লহমায় ধুলিস্যাৎ হয়ে যাওয়া রীতিমতো নজিরবিহীন ঘটনা। সারা দেশে তাদের কোন অস্তিত্ব নেই। আত্মবিশ্বাসেও এই দলের নেতাদের চিড় ধরেছে।
বিশেষ করে ত্রিপুরাতে তথাকথিত কমিউনিস্টরা নজির বিহীনভাবে মুখ থুবড়ে পরেছে। আগামী বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে কমিউনিস্ট দলের অবশিষ্ট সমর্থকরাও দলে দলে অন্য দলে ভিড়ছেন। নেতৃত্ব নেই। দলীয় কোন ইস্যু নেই। সমস্যার সমাধানের জন্য দলের নেতাদের কোন প্রকার যোগাযোগ নেই। দলীয় আদর্শের লম্বা লম্বা কথাবার্তা যেহেতু শুধুমাত্র পুঁথিগত তাই বাস্তবের মাটিতে পা রাখতে এবং ভালোভাবে বাঁচার তাগিদে দল ছাড়ছেন তারা। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মহলের অভিমত, তথাকথিত কমিউনিস্টদের ন্যূজ হয়ে পড়াটা আসলে চমকপ্রদ এক ঘটনা। যারা লাল পতাকা ছেড়েছেন তারা নিজেরাই জানিয়েছেন কমিউনিস্টদের শোষণ আর শাসনের কথা। তারা জানিয়েছেন পঁচিশ বছর শ্রমিক কৃষক বেকার সমাজ তাদের ভাগ্য বদলাতে পারেনি। বাম সরকার তাদের ভাগ্য বদলাতে সহায়তাই করেনি। যদিও তৎকালীন সরকারের নেতা-মন্ত্রীরা আদর্শের কথা বলতে বলতে নিজেদের জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন ভালোভাবেই ঘটিয়ে গেছেন। মুখে শ্রমিক এবং মেহনতী মানুষের কথা বলা নেতারা কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি আর ব্যাংক ব্যালেন্স তৈরি করে গেছেন। যেহেতু কিছু ছিদ্রান্বেষী দাম্বিক আর ভুল চরিত্রের হাতেই ছিল এই দলের যাবতীয় দায় ভার, তাই তারাই দলীয় আদর্শের কফিনে শেষ পেরেক পুঁতে গেছেন।