সর্বশেষ সংবাদ
মাদক চোরাচালনের বাড় বাড়ন্তের নেপথ্যে লালবাড়ির স্নেহধন্য উর্দীপরাদের হাত

মাদক চোরাচালনের বাড় বাড়ন্তের নেপথ্যে লালবাড়ির স্নেহধন্য উর্দীপরাদের হাত


লাল বাড়ির গুণ মুগ্ধ একাংশ পুলিশ অফিসারদের প্রত্যক্ষ আর পরোক্ষ মদতে আগরতলা সহ গোটা ত্রিপুরা রাজ্যে মাদক পাচার কারবার চলছেই। এদের উদ্দেশ্যই হচ্ছে জোট সরকারের "নেশা মুক্ত ত্রিপুরা"র স্লোগানকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দেওয়া ‌ এক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের মাদক সংক্রান্ত আশু উদ্দেশ্য এবং পারফরমেন্সকে গৌণ রাখা, কিংবা উন্নীত করতে না দেওয়া।
। এ কারণেই জাতীয় সড়কের উপর অবস্থিত ত্রিপুরার সবকয়টি থানা পেরিয়ে অনায়াসে গাঁজা ভর্তি লরির পাস দেওয়া হচ্ছে হরিয়ানা মধ্যপ্রদেশ উত্তর প্রদেশ ইত্যাদি রাজ্যে। অন্যদিকে উত্তর পূর্বাঞ্চলের পথ পেরিয়ে ত্রিপুরার সোনামুড়া দিয়ে ফেনসিডিল ইয়াবা যাচ্ছে বাংলাদেশে। 
পুলিশ এবং বিএসএফ আধিকারিক সূত্রে খবর পাচারকৃত সামগ্রীর মধ্যে গত দুই বছরে উদ্ধারকৃত সামগ্রীর সংখ্যা দিনের পর দিন বাড়ছে। অর্থাৎ বিশেষ করে মাদক সংক্রান্ত ক্ষেত্রে শক্তপুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ লাল বাড়ির স্নেহধন্যরা একেবারেই যে উদাসীন সেই বিষয়টি কিন্তু সামনে উঠে আসছে।
রাজনৈতিকভাবে প্রভাবিত একাংশ পুলিশের নিলিপ্ততা এবং স্বার্থান্বেষী মনোভাব নেশামুক্ত ত্রিপুরার স্লোগানটিকে চ্যালেঞ্জের মধ্যে ফেলে দিচ্ছে। 
একারণেই বোধজংনগর থানা এখন মাদক কারবারীদের লোডিং আনলোডিং এর সেফ ঠিকানা। এ কারণেই খয়েরপুর হতে আমতলী থানা পর্যন্ত গোটা বাইপাস সড়কের অবৈধ গোডাউন গুলিতে আজ পর্যন্ত ও কোন প্রকার অভিযান চালানো হচ্ছে না। রাজ্যে কত পরিমান মাদক সামগ্রী নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে এগুলির কোনো রেকর্ড নেই। জানা গেছে সম্পূর্ণ ইচ্ছাকৃতভাবে সেই রেকর্ড জনসম্মুখে তুলে ধরা হচ্ছে না। লালবাড়ির গুণগ্রাহীদের বদন্যতায় বলা চলে মাদক ধরপাকরের ম্যাসিভ অভিযান  বন্ধ রয়েছে, এ কারণেই আজ পর্যন্ত ত্রিপুরার বুক থেকে যেমন কোন মাস্টারমাইনকে ধরপাকড় করা সম্ভব হয়নি একই কারণে ত্রিপুরায় অবস্থিত সাড়ে ৩০০ র মতো ফেন্সি/ ইয়াবা /ব্রাউন সুগার নেশার ইঞ্জেকশনের গোডাউনে আজ পর্যন্ত অভিযান চালানো সম্ভব হয়নি। সূত্রে খবর জোট সরকারের জিরো টলারেন্স নীতিকে এ কারণেই এরা সঠিকভাবে কার্যকর করছে না এবং পরোক্ষভাবেই এরা এ রাজ্যের যুব সমাজের মেরুদন্ড ভেঙ্গে দেওয়ার কাজ করে চলেছে।

পরবর্তী খবর