সর্বশেষ সংবাদ
ত্রিপুরা বাংলাদেশ সীমান্তের অরক্ষিত অংশ দিয়ে জঙ্গি আনাগোনা দুশ্চিন্তা বাড়াচ্ছে রাজ্যের

ত্রিপুরা বাংলাদেশ সীমান্তের অরক্ষিত অংশ দিয়ে জঙ্গি আনাগোনা দুশ্চিন্তা বাড়াচ্ছে রাজ্যের


জঙ্গি গোষ্ঠীর আস্ফালন।বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজ্যের সীমান্তের অরক্ষিত অংশ দিয়ে বাড়ছে নিষিদ্ধ জঙ্গি  সদস্যদের আনাগোনা। গত কয়েক বছর ধরেই স্বরাষ্ট্র দপ্তরের মাধ্যমে জঙ্গিদের ধরপাকড়ের তৎপরতা চলছিল। বিশেষ করে  এন এল এফ টি জঙ্গী গোষ্ঠীর বেশ কয়েকজন সদস্যকে বিভিন্ন সময় গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছিল অস্ত্রশস্ত্রও। এক্ষেত্রে অবশ্য চাপে পড়ে আত্মসমর্পণ করেছিল বেশ কয়েকজন জঙ্গি। ত্রিপুরার বিএসএফের আধিকারিকদের তরফে এ ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করা হয়েছিল। বিএসএফের উচ্চ আধিকারিকসহ খোদ রাজ্য পুলিশের ডিজি বলেছিলেন, বাংলাদেশ সরকারের তরফে নিষিদ্ধ জঙ্গি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে কড়া একশন নেওয়ার কারণেই জঙ্গিদের একটা অংশ বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে ত্রিপুরাতে এবং উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বিভিন্ন রাজ্যের ঢুকেছে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর RAB বিশেষ করে পার্বত্য চট্টগ্রামে জঙ্গিদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ায় ত্রিপুরায় নানান প্রভাব লক্ষ্য করা গেছে। সূত্রে জানা গেছে, যেহেতু ত্রিপুরা বাংলাদেশ সীমান্তের একটা বড় অংশে এখনো কাঁটাতারের বেড়া তৈরি হয়নি তাই নিষিদ্ধ জঙ্গি গোষ্ঠীর সদস্যরা ত্রিপুরাতে অনায়াসে প্রবেশ করছে। ত্রিপুরাকে করিডর করে এদের একটা বড় অংশ চলে যাচ্ছে দেশের মেট্রোপলিটন শহরগুলিতে। সে যাই হোক, ত্রিপুরাকে কেন্দ্র করে নিষিদ্ধ জঙ্গি গোষ্ঠীর অবৈধ অনুপ্রবেশ অপরাধবিষয়ক বিশ্লেষক মহলের দুশ্চিন্তা বাড়িয়ে দিয়েছে। সূত্রে জানা গেছে রাজনৈতিক সুবিধা চরিতার্থ করার অর্থে একাংশ জঙ্গিকে হাতের মুঠোয় রাখা কিংবা তাদের আশ্রয় দিচ্ছে কিছু ছিদ্রান্বেষী গোষ্টি। যার ফলে ত্রিপুরাকে আবারও অশান্ত করে তোলার জন্য ষড়যন্ত্রের নীল নকশা রচনা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই এদের কিছু দুষ্কর্মের হদিশ লক্ষ করা গেছে।

পরবর্তী খবর